***গ্রামীণ রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সমস্যা :
গ্রামীণ রাজনীতিতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যা মানুষকে বাধাগ্রস্ত করে। নিম্নে
গ্রামীণ রাজনীতি অংশগ্রহণের সমস্যাসমূহ উল্লেখ করা হলাে :
১. অর্থনৈতিক অবস্থান : গ্রামীণ
অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র কৃষক। তারা তাদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে।
তাদের কাছে রাজনীতি করার অবসর নেই। সুতরাং
অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও দারিদ্র্য গ্রামীণ জনগণকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখে।
২. শিক্ষার অভাব : রাজনীতিতে
অংশগ্রহণের অন্যতম নিয়ামক বা পূর্বশত হচ্ছে শিক্ষা। বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে শিক্ষার হার অতিমাত্রায় কম। এ
অশিক্ষিত জনগােষ্ঠী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে না এবং তাদের পক্ষে কার্যকর ও
অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ সম্ভব নয়। সুতরাং
শিক্ষার অভাবই গ্রামীণ জনগণের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ না করার অন্যতম কারণ ।
৩. প্রতিবন্দ্বিতার অনুপস্থিতি :
গ্রামীণ সমাজ কাঠামাে রাজনীতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুবই সীমিত। শান্তিপ্রিয়
গ্রামীণ মানুষ
রাজনৈতিক
প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও সংঘর্ষ পছন্দ করে না। এক্ষেত্রে বিবিধ কারণে গ্রামীণ রাজনীতি
প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুপস্থিতি বিদ্যমান।
৪. সচেতনতার অভাব : রাজনীতি বিষয়ে গ্রামীণ এলাকার লােকজনের সচেতনতা খুবই কম। এর ফলে
সচেতনতার অভাবে গ্রামীণ জনগােষ্ঠী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে না।
৫. রাজনৈতিক পরিবেশ : গ্রামীণ রাজনৈতিক
পরিবেশ সর্বদা অনুকূলে না থাকায় গ্রমীণ জনগােষ্ঠীর সিংহভাগ রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে না।
ইউনিয়ন পরিষদের বৈশিষ্ট্য :
ইউনিয়ন পরিষদ
অনেক কারণে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এগুলাে নিম়নে উল্লেখ করা হলাে :
১. ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে জনগণের
সাথে সরকারের প্রত্যক্ষ যােগাযােগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
২. স্থানীয় সংস্থাগুলাে গণতান্ত্রিক
সংস্থারূপে গড়ে উঠার সুযােগ পায়। অতীতে মৌলিক গণতন্ত্রের সংস্থাগুলােতে সরকারি কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ
প্রভাব. ছিল। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবস্থায় শুধুমাত্র জন প্রতিনিধিদের নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়।
৩. এই ব্যবস্থা জনগণের স্থানীয়
পর্যায়ে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দান করে এবং শাসন ক্ষমতা উপভােগ করার ব্যবস্থা করে জনগণের মধ্যে দায়িত্বশীল নেতৃত্ব
বিকাশের পথ সুগম করেছে। শাসনকার্যে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে তারা অধিকতর দায়িত্বশীল হয়ে উঠতে
পারে।
৪. স্থানীয় উন্নয়ন কর্মসূচি স্থানীয়
জননেতাদের নেতৃত্বে আরাে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে এবং জাতীয় উন্নয়ন অধিকতর ত্বরাম্বিত হবে।
**মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতি : বর্তমান সময়ে
স্থানীয় সরকার অধ্যয়নে মনস্তাত্ত্বিক পদ্ধতি একটি অন্যতম আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মাধ্যমে স্থানীয়
সরকার ব্যবস্থায় স্থানীয় জনগণের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করা যায় এবং স্থানীয় পর্যায়ে জনমত, স্থানীয় আদর্শ, স্থানীয় জাতীয়তা, স্থানীয় রাজনৈতিক মূল্যবােধ
বিচারবিশ্লেষণ করা যেতে পারে।








No comments:
Post a Comment