অর্থনীতি ৬ষ্ঠপত্র অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

 **অর্থনৈতিকি চিন্তাধারা: মানব কল্যাণের জন্য এবং ব্যক্তির স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য অর্থনেতিক উন্নয়নের প্রয়ােজন হয়। কাজেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যে সকল চিন্তাবিদরা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তাদের চিন্তাধারাকেই অর্থনৈতিক চিন্তাধারা বলে।

**অর্থনৈতিক চিন্তাধারার দু'জন বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ হলে অধ্যাপক আলেকজান্ডার, অধ্যাপক হ্যানি।

**প্লেটোর অর্থনৈতিক দর্শন কি ছিল: প্লেটো সম্পদ অর্জনের বিপক্ষে মতামত প্রদান করেন। আবার চরম দারিদ্রের বিপক্ষে ছিলেন। প্লেটো সম্পদ অর্জনের বিপক্ষে থাকার দুটি কারণ ছিল। ১. উৎপাদনের প্রয়ােজন ও ২. নৈতিকতার প্রয়ােজন।

**মার্কেন্টাইলিজম: পঞ্চাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও ইতালির আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষ প্রসার লাভ করে, এ অবস্থায় নতুন অর্থনৈতিক চিন্তাধারার সৃষ্টি হয়। এ সকল ভাবধারাকে একত্রে মার্কেন্টাইলিজম বলে।

**তিনজন বাণিজ্যতন্ত্রবিদের নাম: ১. টমাস মুন, ২. উইলিয়াম পেটি ও ৩. ফিলিপ ভন হনরিক।

**ভূমিবাদ কথাটি একজন ফরাসি লেখক Dupontde Nemours ১৭৬৮ সালে সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন।

**মার্কসিয়ান স্কুল বা মার্কসিয়ান মতবাদ: যে সকল অর্থনীতিবিদ মার্কসীয় চিন্তাধারার ওপর ভিত্তি করে আলােচনার প্রসার লাভ করান তাদের সমন্বিত

মতবাদকে মার্কসিয়ান স্কুল বলে।

**প্রান্তিক সমাজতন্ত্র: প্রান্তিক ধারণার ওপর বিশ্বাস করে যে সকল অর্থনীতিবিদ বিভিন্ন ত্ত্ব প্রদান করেছেন তাদের চিন্তা ধারাকে প্রান্তিক সমাজতন্ত্র বলে।

**কেইনসীয় অর্থনীতি: কেইনস অবাধ বাজার ব্যবস্থার বদলে মিশ্র অর্থনীতির সুপারিশ করেন। এটি ক্লাসিক্যাল অর্থনীতিবিদদের দুই খাত অর্থনীতি থেকে তিনখাত অর্থনীতি প্রবর্তন করে। এ সকল ধারণা কে কেইনসীয় অর্থনীতি বলে।

**শিকাগো স্কুল মতবাদ: শিকাগােরা মনে করেন, মুদ্রানীতি অর্থের চাহিদা পরিবর্তন করে অর্থনীতিকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে। তাদের মতে আর্থিক নীতি স্বল্প মেয়াদে উৎপাদন এবং মূল্য প্রভাবিত করে। মূল্যের উপর এর প্রতিক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি।

**ইসলামি অর্থনৈতিক চিন্তাধারা: ইসলামি পণ্ডিতগণ ইসলাম ধর্মের উপর ভিত্তি করে যেসব অর্থনৈতিক চিন্তাধারা বিশ্লেষণ ও প্রদান করে তাদের সমন্বিত রূপকে ইসলামি অর্থনৈতিক চিন্তাধারা বলে।

**কয়েকজন ইসলামি অর্থনৈতিক চিন্তাবিদের নাম: ইমাম আল গাজ্জালী, হুসেন ইবনে সিনা, আল মাওয়াদি, ইবনে খালদুন ইত্যাদি।

 

**অর্থনীতির স্কুল কাকে বলে: প্রত্যেক অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য গবেষণা করা প্রয়ােজন। এই জন্য কিছু সংখ্যক অর্থনীতিবিদ গবেষণা করার সুবিধার্থে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলে। ঐ প্রতিষ্ঠানকে অর্থনীতির স্কুল বলে।

**স্কলাসটিক মতবাদ: স্কলাসটিক বলতে মধ্যযুগীয় এমন এক মতবাদ বুঝায় যা খ্রিস্টীয় মতবাদ, চার্চ এবং গ্রিক দার্শনিক এরিস্টটলের দর্শনের মিশ্রণে গড়ে উঠে। মধ্যযুগে কিছু স্কলার আগের বিভিন্ন অর্থনৈতিক চিন্তাধারার মধ্যে সমন্বয়

সাধন করে এক নতুন অর্থনৈতিক চিন্তাধারার জন্ম দেন। একেই স্কলাসটিক মতবাদ বলে।

**এরিস্টটলের অর্থনৈতিক দর্শনের দুইটি মৌলিক উপাদান হলাে- ১. মানুষের সম্পদ সীমাহীন হতে পারে না ও ২. সব ধরনের দৈহিক শ্রম শাসক শ্রেণির জন্য অনুপযােগী।

**ভূমিবাদ : যে সকল চিন্তাবিদরা কৃষি তথা ভূমির উপর গুরুত্ব আরােপ করে বক্তব্য প্রদান করেন তাদের মতবাদকে ভূমিবাদ বলা হয়।

**প্রান্তিকতাবাদের প্রবক্তা কারা: মার্শাল, পিগ্ড ওয়ালরাস এবং বােমবার্ক।

**টেবুল্য ইকোনমিক : ভূমিবাদ অর্থনীতিবিদ কুইজনে সামগ্রিকভাবে কোনাে দেশের জাতীয় সম্পদের বণ্টন দেখানাের জন্য যে টেবিল তৈরি করেন তাই টেবুল্য ইকোনমিক হিসেবে পরিচিত।

**বুর্জোয়া বাইবেল: বুর্জোয়াদের প্রতিষ্ঠিত স্বতঃসিদ্ধ ধ্যান ধারণাকে বুর্জোয়া বাইবেল বলে।

**সের বাজার বিধি হলাে, যােগান নিজেই তার চাহিদা সৃষ্টি করে। আর দীর্ঘমেয়াদে চাহিদা ও যােগান পরস্পর সমান হবে।

**মধ্যযুগ বলতে কি বুঝ: পঞ্চম শতাব্দীর শেষ দিকে রােম সাম্রাজ্যের পতনের পর থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত সময়সীমাকে ইউরােপের মধ্যযুগ বলা হয়। অর্থাৎ রােম সাম্রাজ্যের পতনের পর (৪৭৬) থেকে ১৩০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে মধ্যযুগ বলা হয়।

**Scholasticism মতবাদের আলােচ্য বিষয় রােমান বস্তুবাদী দর্শন, খ্রিস্টীয় ধর্মীয় দর্শন, গণতান্ত্রিক ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদ, এরিস্টটলের দর্শন।

**বাণিজ্যতন্ত্রবাদের প্রবক্তা হলেন থমাস মুন, জেমস স্টুয়র্ট, উইলিয়াম পেটি, ফিলিপ ভন হনরিক।

**বাণিজ্যতন্ত্রবাদের চিন্তাধারায় উইলিয়াম পেটি এর অবদানগুলাে হলাে- ১. রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি মজবুত করা, ২. শ্রমের অর্থনীতি মজবুত করা, ৩. শ্রমের মজুরি বৃদ্ধি করা, ৪. খাজনা ও সুদ নির্ধারণ ও আদায় করা, ৫. অর্থ তত্ত্বের

উপর গুরুত্ব দেয়া ও ৬. বণ্টন তত্ত্বের উপর গুরুত্ব দেয়া।

**ক্লাসিক্যাল চিন্তাধারার ৩টি বৈশিষ্ট্য হলাে- ১. ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যবাদ, ২. পূর্ণ প্রতিযােগিতামূলক বাজার ও ৩. মুক্ত বাজার অর্থনীতি

**আমদানি নিষেধাজ্ঞা কী :কোনাে দ্রব্য আমদানি সরাসরি নিষিদ্ধ করার নামই হচ্ছে আমদানি নিষেধাজ্ঞা।

**নিউক্লাসিক্যাল অর্থনীতিবিদ কারা: মার্শাল, পিগুড, কেইনস, রবার্টসন প্রমুখ।

**বাণিজ্য চক্র কী: বাণিজ্য চক্র ধারণাটি মূলত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উথ্থান-পতন নির্দেশ করে। অর্থনৈতিক উত্থান পতনের মানদন্ড হচ্ছে-১. সমৃদ্ধি, ২. অবনতি, ৩. মন্দা ও ৪. পুনরুথান।

**প্রান্তিকতাবাদ কী: অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত উৎপাদন, উপযােগ, ব্যয় এবং আয়ের বিভিন্ন তত্ত্ব বিশ্লেষণের মাধ্যমে যেসব অর্থনীতিবিদ প্রান্তিক ধারণা প্রবর্তন এবং ব্যবহার করেন তাদের মতবাদকে প্রান্তিকতাবাদ বলা হয়।

**বাণিজ্যবাদ কী: পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে ষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ফ্রান্স, ও ইতালিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসার লাভ করে। এ অবস্থায় নতুন অর্থনৈতিক ভাবধারার সৃষ্টি হয়। এই সকল ভাবধারাকে একত্রে বাণিজ্যবাদ বলা হয়।

**ভূমিবাদ কি: যে সকল চিন্তাবিদ কৃষি তথা ভূমির উপর গুরুত্ব আরােপ করে বক্তব্য প্রদান করেন তাদের সম্মিলিত মতামতকে ভূমিবাদ বলা হয়।

**টুরগো ছিলেন একজন বিখ্যাত ভূমিবাদী চিন্তাবিদ।

**ক্লাসিক্যাল অর্থনীতি কি:অর্থনীতির যে মতবাদে বাজারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূর্ণ নিয়ােগ অর্জন করে বলে মনে করা হয় ঐ সকল মতবাদের অর্থনীতিবিদদেরকে ক্লাসিক্যাল অর্থনীতি বা অর্থনীতিবিদ বলে।

**বাজার দাম কি: স্বাভাবিক দর এর সাথে খাজনা, সুদ ও মুনাফা যােগ করলে যে দাম পাওয়া যায় তাকে বাজার দর বলে।

** অদৃশ্য হস্ত কি: ক্লাসিক্যাল বাজার ব্যবস্থায় অর্থনীতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূননিয়ােগ অর্জিত হয় এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাকেই বলা হয় অদৃশ্য হাত।

**সৃজনশীল ধ্বংস: সৃষ্টিশীল কোনাে কিছু ধ্বংস করাকে সৃজনশীল ধ্বংস বলে।

**মার্কস এর উদ্বত্ত মূল্য: নির্দিষ্ট সময়ে একজন শ্রমিক যা উৎপাদন করে

এবং শ্রমিক পারিশ্রমিক হিসেবে সে যে বেতন পায় এই দুইয়ের পার্থক্যকেই উদ্বৃত্ত মূল্য বলে।

** কেইনসীয় বিপ্লব কী: ক্লাসিক্যাল অর্থনীতিবিদদের বিপরীতে নতুন চিন্তাধারা

নিয়ে কেইনস যে বক্তব্য প্রদান করেন তাই কেইনসীয় বিপ্লব।

**অর্থনৈতিক স্থবিরতা বলতে জনসাধারণের মাথাপিছু আয় ক্রমাগত হ্রাস পাওয়া বা স্থির থাকা এবং অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি না হওয়াকে বুঝায়।

**কক্লাসিকযাল অর্থনীতিবিদ হলেন রিকার্ডো, ম্যালথাস, জে.বি. সে প্রমুখ

**দুইজন বিখ্যাত ভূমিবাদী হলেন F. Quesnay, M. De Mirabeau.


**ভূমিবাদী চিন্তাধারার ক্রুটিগুলো: ১. শুধুমাত্র কৃষিই উৎপাদনশীল, বাণিজ্য এবং শিল্প অনৎপাদশীল। ২. তারা প্রাকৃতিক নিয়মে সবকিছু চলা উচিত বলে মতবাদপ্রচার করেন। ৩. ধনসম্পদ বন্টন ও সঞ্চালন সম্পর্কে ভূমিবাদীরা যে

মতবাদ প্রকাশ করেন তা পরিপূর্ণ নয়।

**নিও-ক্লাসিক্যাল অর্থনীতি কি: ক্লাসিক্যাল অর্থনীতির ভাবধারায় যে সংকীর্ণতা এবং অসম্পূর্ণতা পরিলক্ষিত হয় তা সংশােধন এবং পরিবর্ধন করে নতুন রূপ প্রদান করে তাকে নিও- ক্লাসিক্যাল অর্থনীতি বলা হয়।

**মুদ্রাবাদ কী: মুদ্রাবাদ মূলক ক্লাসিক্যাল সমষ্টিগত অর্থনীতি আধুনিক সংস্করণ। এ মতবাদ বিশ্বাসী অর্থনীতিবিদরা মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব এবং সুদের হার সম্পর্কে নতুন ধারণা প্রবর্তন করেন যা মুদ্রাবাদ নামে পরিচিত।

**সে'র বাজার বিধির ভিত্তি কি: অর্থনীতিতে যদি কোনাে হস্তক্ষেপ করা না হয় তাবে অর্থনীতি আপন নিয়মে পূর্ণ নিয়ােগ স্তরে পৌঁছে যায়।

**নিম খাজনা কী: স্বল্পমেয়াদে কিছু উপকরণের যােগান স্থির থাকে। এরূপ উপকরণ ব্যবহারের জন্য যে খাজনা প্রদান করতে হয় তাকে আধা অথবা মিন খাজনা বলা যায়।

**তারল্য ফাঁদ কি: সুদের হার কমে এমন স্তরে পৌছে পারে যখন অর্থের চাহিদা সুদের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণভাবে স্থিতিস্থাপক হবে ফলে মানুষ বন্ডের বদলে সম্পদ নগদ অর্থের আকারে হাতে ধরে রাখবে। এই অবস্থাকে তারল্য ফাঁদ বলে।

**কার্যকর চাহিদা কি: সাধারণত চাহিদা বলতে দ্রবায ক্রয়ের ইচ্ছা ও ক্ষমতাকে বুঝায়। তবে ভােগ ও বিনিয়ােগ দ্রব্য ক্রয়ের আয় খরচ করা হলে তাকে কার্যকর চাহিদা বলা যায়।

**মার্কস এর উদ্বৃত্ত মূল্য কি: নির্দিষ্ট সময়ে একজন শ্রমিক যা উৎপাদন করে এবং শ্রমিক পারিশ্রমিক হিসেবে সে যে বেতন পায় এই দুইয়ের পার্থক্যকেই উদ্বৃত্ত মূল্য বলে।

**প্রান্তিক জমি কি: সাধারণত অনুর্বর জমিকেই প্রান্তিক জমি বলা হয়। **তিনজন নব্য ক্লাসিক্যাল অর্থনীতিবিদের নাম : মার্শাল, পিগু, কেইন্স, রবার্টসন।

**বিনিময় মূল্য কি: কোনাে দ্রব্য ক্রয়ের জন্য যে মূল্য দিতে হয় তাকেই

বিনিময় মূল্য বলে।

**বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র: মার্কসের রচিত সমাজতন্ত্রকে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র বলে।

**মহামন্দা বলতে কি বোঝায়: ১৯৩০ সালে বিশ্বব্যাপি যে বেকারত্বের সৃষ্টি য়েছিল ইতিহাসে তাকেই মহামন্দা বলে।


.**মুদ্রানীতি কাকে বলে: অর্থের চাহিদার উপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থের যে যােগান নির্ধারণ করে তাকেই অর্থের বা মুদ্রার নীতি বলে।

**মধ্যযুগ কী: ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে রােমানদের পতন হয়। এই ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৬০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সময় ব্যপ্তিকালকেই মধ্যযুগ বলা হয়।

**ওরেছমি মতবাদ : ওরেছমি মধ্যযুগের শেষ দিকে জন্মগ্রহণ করেন। তার চিন্তাধারায় আধুনিকতার ছোেঁয়া ছিল। তিনিই প্রথম দ্বি-ধাতু সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেন। তিনি বলেন কোন স্থানে বা দেশে একই সাথে দুই প্রকারের ধাতু চালু থাকলে এ দুই প্রকারের ধাতুর ওপর নির্ভর করবে এদের বাজার দর।

**বাণিজ্যবাদের মূলকথা কী: বিদেশ থেকে মূল্যবান ধাতু আমদানি করাই ছিল বাণিজ্যবাদের মূলকথা।

**ভূমিবাদ কখন আরম্ভ হয়: ১৭৬৮ সালে প্রথম ভূমিবাদী চিন্তাধারা শুরু হয়।

**ক্লাসিক্যাল অর্থনীতি: অর্থনীতির যে মতবাদে বাজারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূর্ণনিয়ােগ অর্জন করে বলে মনে করা হয় ঐ সকল মতবাদের অর্থনীতিবিদদেরকে ক্লাসিক্যাল অর্থনীতি বা অর্থনীতিবিদ বলে।

**অর্থনৈতিক খাজনা: সম্পদ এর সীমাবদ্ধতার কারণে কোন সম্পদ ব্যবহারের জন্য তার মালিককে যে অর্থ প্রদান করা হয়। তাকে অর্থনৈতিক খাজনা বলে।

**অর্থনৈতিক চিন্তাধারা কি: মানবকল্যাণের জন্য এবং ব্যক্তির স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য অর্থনেতিক উন্নয়নের প্রয়ােজন হয়। কাজেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যে সকল চিন্তাবিদরা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

**অর্থনীতির ইস্কুল কি: অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য গবেষণা করা প্রয়ােজন। এই জন্য কিছু সংখ্যক অর্থনীতিবিদ গবেষণা করার সুবিধার্থে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তােলেন। ঐ প্রতিষ্ঠানকেই অর্থনীতির স্কুল বলা হয়।

** এফ. কুইজনের বিখ্যাত প্রকাশনার নাম: ট্যাবলু ইকোনমি।

**টুরগাে ছিলেন একজন বিখ্যাত ভূমিবাদী চিন্তাবিদ।

**এ্যাডাম স্মিথ এর মতে অনুৎপাদনশীল শ্রমণগুডলাে কি: এ্যাডাম স্মিথ মনে করেন, ধর্মযাজক, উকিল, ডাক্তার, শিক্ষক, গায়ক, বাদক, সকলকে অনুৎপাদনশীল শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।

**অদৃশ্য হস্ত কি: ক্লাসিক্যাল বাজার ব্যবস্থায় অর্থনীতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে

পূণনিয়ােগ অর্জিত হয় এই স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাকেই বলা হয় অদৃশ্য হাত।

**সে'র বিধিকে কেন অভেদ বলা হয: সে'র বিধিতে সামগ্রিক চাহিদা ও সামগ্রিক যােগান সমান দেখানাের কারণে এ বিধিকে অভেদ বলা হয়।

**প্রান্তিক চিন্তাধারা কি: অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত উৎপাদন, উপযােগ, ব্যয় এবং আয়ের বিভিন্ন তত্ত্ব বিশ্লেষণের মাধ্যমে যেসব অর্থনীতিবিদ প্রান্তিক ধারণা প্রবর্তন এবং ব্যবহার করেন তাদের মতবাদকে প্রাক্তিকতাবাদ বলা হয়।

**তারল্য ফাঁদ কি: সাধারণত সুদের হার কমলে অর্থের চাহিদা বাড়ে কিন্তু সুদের হার কমতে কমতে একটি নিম্নতর স্তরে আসার পর অর্থের ফটকা চাহিদা অসীম হয়ে পড়ে। সুদের হারের যে স্তরে অর্থের ফটকা চাহিদা অসীম হয় সুদের সেই স্ত রকে অর্থের তারল্য ফাদ বলে।

**অর্থনৈতিক চিন্তাধারা কি: মানবকল্যাণের জন্য এবং ব্যক্তির স্বার্থ সংরক্ষণ করার জন্য অর্থনেতিক উন্নয়নের প্রয়ােজন হয়। কাজেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যে সকল চিন্তাবিদরা প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।

 **প্রান্তিক মতবাদ কাকে বলে: অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে উৎপাদন ব্যয উপযােগ এবং আয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন তত্ত্ব বিশ্লেষণের মাধ্যেমে যেসব অর্থনীতিবিদ প্রান্তিক ধারণা প্রবর্তন এবং ব্যবহার করেন তাদের মতবাদকে।


 

Share:

No comments:

Post a Comment

slidebar

Total Pageviews

Abdullah Mondal

Powered by Blogger.

Blog Archive

Recent Posts

বাস্তবতা

জীবনের বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর। এটাই জীবন। জীবনের বাস্তবতার বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যতই নিষ্ঠুর হউক বা যতই কষ্ট হউক তা সয়ে নিতে হয়, মেনে নিতে হয় জীবনের প্রয়োজনেই। জীবনে কষ্ট আসলে মানসিক ভাকে যতটুকু ভেঙ্গে পড়বে জীবন তার দ্বিগুন পিছিয়ে যাবে। জীবনের সকল দূঃখ কষ্ট ও বাস্তবতাকে জীবনের অংশ হিসাবে মেনে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করার নামই হচ্ছে সুখ।

Pages