ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ীকমিটি গঠন ও তার কার্যাবলি

 

**বাংলাদেশ পল্লিউন্নয়ন একাডেমি (BARD) কর্মসূচি : পাকিস্তান সরকার কুমিল্লা পল্লি উন্নয়ন একডেমি গঠন করে স্বাধীনতার পর এ সংস্থা বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন একডেমি (BARD) নামে পরিচিতি লাভ করে। গ্রামীণ উন্নয়নে এ সংস্থার কর্মসূচিসমূহ নিম্নরূপ ।

, গ্রামীণ কৃষকদের উন্নয়নের লক্ষ্যে সমবায় সমিতি গঠন করা।

খ. কৃষিতে আধুনিকায়নের ব্যবস্থা করা এবং সেচ, সার, কীটনাশক ব্যবহারের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা।

গ. খামার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া।

ঘ. বাজার ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণকে পরামর্শ দেয়া।

ও. কৃষি উন্নয়নে থানা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা।




***ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ীকমিটি গঠন ও তার কার্যাবলি : ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন

পরিষদ) আইনের ৪৫ ধারাতে ইউনিয়ন পরিষদের স্থায়ীকমিটি গঠন ও তার কার্যাবলি সম্পর্কিত নিম্নােক্ত বিধান উল্লেখ রয়েছে।

১. পরিষদ তার কার্যাবলি সুচারুরূপে সম্পাদন করবার জন্য নিম্নবর্ণিত বিষয়াদির প্রত্যেকটি সম্পর্কে একটি করে

স্থায়ী কমিটি গঠন করবে। যথা :

, অর্থ ও সংস্থাপন

, হিসাব নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ

, কর নিরূপণ ও আদায়;

, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা;

, কৃষি, মৎস ও পশুসম্পদ ও অন্যান্য অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কাজ;

চ. পল্লি অবকাঠামাে উন্নয়ন, সংরক্ষণ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি।

, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা;

জ. জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন

, স্যানিটেশন, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিঙ্কাশন

, সমাজকল্যাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা;

, পরিবেশ উন্নয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরােপণ;

ঠ. পারিবারিক বিরােধ নিরসন, নারী ও শিশু কল্যাণ;

ড. সংস্কৃতি ও খেলাধুলা।

২. উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত স্থায়ী কমিটি ব্যতীত পরিষদ, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে প্রয়ােজন, ডেপুটি কমিশনারের অনুমােদনক্রমে, অতিরিক্ত স্থায়ী কমিটি গঠন করতে পারবে।

৩. স্থায়ী কমিটি পাঁচ হতে সাত সদস্য বিশিষ্ট হবে এবং কমিটি প্রয়ােজনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কোনাে একজান ব্যক্তিকে কমিটির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করতে পারবে, তবে এ সদস্যের কোনাে ভােটাধিকার থাকবে না।

.প্রত্যেক স্থায়ী কমিটি প্রতি দুমাস অন্তর সভায় মিলিত হবে, তবে প্রয়ােজনে অতিরিক্ত সভা অনুষ্ঠান করতে পারবে।

Share:

No comments:

Post a Comment

slidebar

Total Pageviews

Abdullah Mondal

Powered by Blogger.

Blog Archive

Recent Posts

বাস্তবতা

জীবনের বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর। এটাই জীবন। জীবনের বাস্তবতার বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যতই নিষ্ঠুর হউক বা যতই কষ্ট হউক তা সয়ে নিতে হয়, মেনে নিতে হয় জীবনের প্রয়োজনেই। জীবনে কষ্ট আসলে মানসিক ভাকে যতটুকু ভেঙ্গে পড়বে জীবন তার দ্বিগুন পিছিয়ে যাবে। জীবনের সকল দূঃখ কষ্ট ও বাস্তবতাকে জীবনের অংশ হিসাবে মেনে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করার নামই হচ্ছে সুখ।

Pages