স্থানীয় স্বায়ওশাসিত সরকারের সমস্যাসমূহ

 




***স্থানীয় স্বায়ওশাসিত সরকারের সমস্যাসমূহ : স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার আঞ্চলিক জনপ্রতিনিধিদের অথবা গঠিত ও পরিচালিত সরকার হলেও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যেমন- ১. সকারের নিয়ন্ত্রণ ; স্থায়ত্তশাসনের মূল কথাই হলাে স্ব-শাসন। অর্থাৎ তাদেরকে স্বাধীনভাবে তাদের প্রশাসন গুলোকে দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাড়াবাড়ি। এরা স্বশাসিত হলেও স্বাধীন নয়। তাদের এসব সংস্থা পৰিচালিত হয়। তবে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণের পরিমাণ এত বেশী থাকে যে, এটা স্বায়ত্তশাসিত সরকার না স্থানীয় সরকার তা বুঝা যায় না।

২. আর্থিক সমস্যা :স্বায়ত্তশাসিত সরকারের আয়ের প্রধান উৎসই সরকারি অনুদান। কিন্তু তাদের কার্যুক্রম পরিচালনার জন্য 'যে পরিমাণ অর্থের প্রয়ােজন কেন্দ্রীয় সরকার তা কথনােই দেয় না। জনগণের উপর করারােপের দ্ষমতা থাকলেও এই সরকারগুলাে জনসমর্থন হারানাের ভয়ে বেশি, করারােপ করে না। ফলে আর্থিক সমস্যা থেকেই যায়।

৩. রাজনৈতিক অস্থিরতা :রাজনৈতিক কোন্দল,ঘন ঘন সরকার পরিবর্তনে স্বায়ত্তশাসিত সরকারের উপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে।ঘনঘন সরকার পরিবর্তনহলে স্থানীয়স্বায়ত্তশাসনের প্রভৃত ক্ষতি হয়।

৪. স্থানীয় রাজনৈতিক কোন্দল :সকলের সহযােগিতায়ই স্থানীয় প্রশাসনের উন্নয়ন সম্ভব। কিন্তু নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হীনম্মন্যতা স্থানীয় আয়স্তশাসনের জন্য মারাত্মক হুমকি।

, দুর্নীতি : আমাদের সমাজের সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি বিরাজমান। জাতীয় পর্যায় থেকে স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি ছড়িয়ে গেছে। স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন কার্যক্রমে দুর্নীতির প্রভাব উন্নয়নকে মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করে।

, প্রশাসনের দুর্বলতা : স্থানীয় স্বায়তশাসিত সরকারকে বিপর্যন্ত অর্থনীতি, দুর্বল প্রশাসন যন্ত্র উন্নয়নের প্রতিষন্ধকতার সৃষ্টি করে। ফলে সরকার স্থানীয় স্বায়তশাসিত সরকার ব্যবস্থার উন্নয়নে পরিপূর্ণ রূপরেখা প্রণয়নে ব্যর্থ হয়। ফলে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার শক্তিশালী হতে ব্যর্থ হয়।

৭. বিকেন্দ্রীকরণ নীতি ; বিকেন্দ্রীকরণ নীতি অনুযায়ী স্থানীয় শাখাগুলাে কতকগুলাে বিশেষ ক্ষেত্রে নিজস্ব বিচার- বৃদ্ধিতে কার্যাদি সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়। তাদের কাজে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করে না। স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারগুলাে যদিও স্থানীয় পর্যায়ে গঠিত হয় তবুও তারা কেন্দ্রীয় স্থানীয় সরকারের অধীনস্থ ও নিয়ান্ত্রণে থাকে স্থানীয় স্বয়তশাসিত সরকারের কর্মচারীয়া স্থানীয়ভাবেই নিযুক্ত হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় তারা সিদ্ধান্ত এহণের ক্ষেত্রে

স্বধীন হলেও উচ্চতর সিদ্ধা্ত্রের দ্বরা যে কোন সময় পরিবর্তিত হয়। ফলে স্থানীয় স্বায়শাসিত সরকার সাষ্ঠভাবে কাজ করতে পায়ে না।

.জনগনের অংশগ্রহনের সমস্যা ; স্থানীয় স্বায়্শাসিত সরকার ব্যবস্থায় সুষ র্তবায়নের জন্য প্রয়ােজন স্থানীয় শাসিত সরকার কাঠামােতে জনগণের ব্যাপক আংশহণ। অনেক সময় এটি প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের প্রভাব ক্ষেত্রে পরিনত হয় ফলে জনসাধারণের অংশহণ সীমিত হয়ে আসে।

৯. পেশাগত যােগ্যতার অভাব : স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার ব্যবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবে পেশাগত দিক থেকে দক্ষতার অভাব রয়েছে। ফলে তারা স্থীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার ব্যবস্থাকে যথাযথভাবে পরিচালনা করতে অক্ষম। ফলে নানা ধরনের দুর্নীতি স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত রকারের মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে চলেছে।

১০. সমন্বয়ের অভাব : কেন্দ্রীয় সরকার ও স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারের মধ্যে যথাযথ সমন্বয়সাধনের অভাবে এ দুয়ের মধ্যে একটা দূরত্ব সৃষ্টি হয় যা প্রকল্প বাস্তবায়ন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সুষ্ঠু তদারকের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

Share:

No comments:

Post a Comment

slidebar

Total Pageviews

Abdullah Mondal

Powered by Blogger.

Blog Archive

Recent Posts

বাস্তবতা

জীবনের বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর। এটাই জীবন। জীবনের বাস্তবতার বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যতই নিষ্ঠুর হউক বা যতই কষ্ট হউক তা সয়ে নিতে হয়, মেনে নিতে হয় জীবনের প্রয়োজনেই। জীবনে কষ্ট আসলে মানসিক ভাকে যতটুকু ভেঙ্গে পড়বে জীবন তার দ্বিগুন পিছিয়ে যাবে। জীবনের সকল দূঃখ কষ্ট ও বাস্তবতাকে জীবনের অংশ হিসাবে মেনে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করার নামই হচ্ছে সুখ।

Pages