****আন্তর্জাতিক স্থানান্তর পরিমাপের উৎসসমূহ :
১. পাসপাের্ট পরিসংখ্যান : প্রতি বছর কতজন লােক বিদেশে যায় তার সঠিক
তথ্য পাসপাের্ট কর্তৃপক্ষ প্রদান করতে পারে। পাসপাের্ট অফিস সাধারণত এ বিষয়গুলাে
পর্যবেক্ষণ করে থাকে। তবে তাদের দেয়া সব তথ্য যে সবসময় সঠিক হবে এমন বলা যায়
না। কেননা তারা শুধু পাসপাের্ট ইস্যু করে কিন্তু পাসপাের্টধারী ব্যক্তি বিদেশে গেল
কি গেল না তার খোঁজ খবর রাখে না। এক্ষেত্রে যারা বিদেশে যায় না তারা পাসপাের্ট
অফিসে এ সম্পর্কে কোন তথ্য নথিভুক্ত করে কি? অনেক সময় দেখা যায় যে,
পাসপাের্টধারী ব্যক্তি তার পাসপাের্ট ইস্যু করার পরও পারিবারিক
বন্ধন বা অন্য কোন কারণে গমন করে না।
২. বন্দর পরিসংখ্যান : আমরা জানি কোন দেশের বন্দর দিয়ে মানুষ অন্য
দেশে আসা যাওয়া করে। তাই বন্দর কার্তৃপক্ষ কত লােক বহির্গমন বা আগমন করছে তাঁর
হিসাব রাখতে পারে। এ পরিসংখ্যানমূলক তথ্য আন্তর্জাতিক স্থানান্তবের ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ধরনের পরিমাপের ক্ষেত্রে সমস্যা হলাে স্থানান্তরকারী স্থায়ী
না অস্থায়ী তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় না।
৩. সীমান্ত এলাকার পরিসংখ্যান : মানুষ শুধু বন্দর বা আকাশ পথে বিদেশ
গমন বা আগমন করে না, বরং স্থলপথেও বহুলােক একদেশ থেকে অন্য দেশে যায়।
অনেক লােক রেলপথে, বাসে একদেশ থেকে অন্য দেশে যায়। উদাহরণস্বরূপ
আমিরা বলতে পারি, বাংলাদেশের অনেক লােক বাস বা রেলপথে
ভারতে যায় আবার ভারতের অনেক লাক বাংলাদেশে আসে। অনেক লােক সীমান্ত পথে হেঁটে
স্থানান্তরিত হয়। তবে এক্ষেত্রে সমস্যা হলাে বিভিন্ন পথে মানুষ স্থানান্তরিত হয়
বলে সঠিক হিসাব সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়ে উঠে না।
৪. যালবাহন চুক্তি পরিসংখ্যান : যেসৰ যানবাহমের মাধ্যমে লোকজন স্থানান্তরিত
হয়, সেসব যানবাহন স্থাসান্তকারী লােকের হিসাব
দিতে পায়ে। কোন ছানে কতজন লােক উঠল, কোন স্থানে
কতলােক নামল এং সর্বশেষে কতলোক স্থানান্তরিত হলাে তার সঠিক তথ্য যানবাহন
কর্তৃপক্ষ দিতে পারে।
৫. জনগংখ্যা নিবন্ধক পরিসংখ্যাল : আন্তজাতিক স্থানান্তর সম্পর্কে তথ্য
সাহের কেষত্রে জনসংখ্যা নিবন্ধীকরণ তথ্য শুরুত্বপূর্ণ।
আন্তর্জাতিক স্থানান্তর সম্পর্কে তথ্য সংগরহের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি সর্বপ্রথম বাবহৃত
হয় ১৮৪৯ সালে হলান্ডে। কর্তৃপক্ষ
এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যারা স্থানান্তরিত হতোে তাদের হিসাব নথিডুক্ত করত।
কিন্তু এ পরিমাপ পদ্ধতি আনেক সমস্যা
লক্ষ করা যায় না।
৬. ট্রানজিট পরিসংখ্যাল : ট্রানজিট বা স্ুল স্থানান্তর পরিমাপ পদ্ধতির
স্বারা একটা নির্দিষ্ট স্থান দিয়ে কতজন লােক আসল যা গেল তার পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। অর্থাৎ, X স্থান থেকে Y স্থানে একটা
নির্দিষ্ট সময়ে কত লােক প্রবেশ করল বা X থেকে Y স্থানে ঐ সময়
কতজন লােক গেল তার পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। X থেকে Y এবং Y থেকে । স্থানান্তয়ের যােগফলই স্থল স্থানান্তর। তবে গবেষণার ক্ষেত্রে এ ধরনের
তথ্য তেমন একটা কাজে লাগে না।
***জীবন সারণি : জীবন সারণি বলতে এমন একটি তালিকাকে বুঝায় যেখানে একটি
নির্দিষ্ট জনগােষ্ঠীর জন্ম থেকে মৃত্যুর ইতিহাস লিপিবদ্ধ থাকে। অর্থাৎ একটি
নির্দিষ্ট সময়ে জন্মগ্রহণকারী সকল জনসংখ্যা তাদের জন্ম থেকে ক্রমান্বয়ে জীবিত
সংখ্যার শূন্য হওয়া পর্যন্ত তাদের জীবন ইতিহাস যে তালিকায় লিপিবদ্ধ হয় তাকে
জীবন সারণি বলে।
আর বিজ্ঞানী E.G. Stockwell এর ভাষায়, জীবন
সারণি হলাে এমন একটি মডেল যেখানে একটি জনগােষ্ঠীর
জন্মহার ও মৃত্যুহারের পরিসংখ্যানিক অনুপাতের সারাংশ নির্দেশ করে
****পূর্ণাঙ্গ জীবন সারণি ও সংক্ষিপ্ত জীবন সারণির
পার্থক্য :
পূর্ণাঙ্গ জীবন সারণি বলতে বুঝায়
একটি কোহর্টের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পূর্ণ জীবন ইতিহাস। সংক্ষিপ্ত জীবন
সারণিতে বুঝয় নির্দিষ্ট কোনাে বছরের গণনাকৃত জনগােষ্ঠীর বয়:নির্দিষ্ট
মৃত্যুহারের ভিত্তিতে তাদের প্রত্যাশিত জীবনকালের তালিকা।
নিয্নে পূর্ণাঙ্গ ও সংক্ষিপ্ত জীবন
সারণির পার্থক্য দেওয়া হলাে :
১. পূর্ণাঙ্গ জীবন সারণি হলাে একটি কোহর্টের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত
পূর্ণ জীবন ইতিহাস। পক্ষান্তরে সংক্ষিপ্ত জীবন সারণি হলাে কোনাে নির্দিষ্ট বছরের
বিবেচিত জনসমষ্টির বয়:নির্দিষ্ট মৃত্যুহারের ভিত্তিতে জীবন প্রত্যাশার তালিকা
নির্দেশ।
২.পূর্ণ জীবন সারণিতে বিবেচনাধীন জনগােষ্ঠীর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত
পূর্ণ জীবন সময়কে ১ বছর বয়স ব্যবধানে ভাগ করা হয়। অপরদিকে সংক্ষিপ্ত জীবন
সারণিতে এই বয়সের ব্যবধান ৫ বছর অথবা ১০ বছর ধরে করা হয়।
৩.পূর্ণ জীবন সারণিতে এ. ndx, এবং L কলামগুলাে বয়স ব্যবধান ১ বছর বিবেচনা করে ব্যাখ্যা করা হয়। পক্ষান্তরে,
সংক্ষিপ্ত জীবন সারণিতে এই সব কলামগুলাে ৫ থেকে ১০ বছর বিবেচনা
করে ব্যাখ্যা করা হয়।
৪.সংক্ষিপ্ত জীবন সারণি বিভিন্ন সূত্রের সাহায্যে সংক্ষেপে তৈরি করা যায়
কিন্তু পূর্ণ জীবন সারণির ক্ষেত্রে কোনাে সংক্ষিপ্ত সূত্র নেই।
৫. সংক্ষিপ্ত জীবন সারণি স্বল্প
পরিধিতে ও স্বল্প সময়ে তৈরি করা যায়। পক্ষান্তরে, পূর্ণ জীবন সারণি তৈরিতে বেশি পরিধি ও বেশি সময় নিয়ে করতে হয়।
৬. সংক্ষিপ্ত জীবন সারণিতে কোহ্ট ১,০০,০০০ জন বিবেচনা করে
নির্ণয় করা হয়। পক্ষান্তরে, পূর্ণ জীবন সারণি এত
সংক্ষিপ্ত আকারে নির্ণয় করা যায় না। এটা অনেক জটিল ও শ্রমসাধ্য।
৭. সংক্ষিপ্ত জীবন সারণি ৫ অথবা ১০
বছরের মৃত্যুর সম্ভাবনা নির্দেশ করে অপরদিকে পূর্ণ জীবন সারণি প্রতিবছরের মৃত্যুর
সম্ভাবনা নির্দেশ করে।
৮. সংক্ষিপ্ত জীবন সারণি অধিক ব্যবহৃত
হয়। অন্যদিকে, পূর্ণ জীবন সারণি
কম ব্যবহৃত হয়।
উপসংহার : পূর্ণ জীবন সারণি ও
সংক্ষিপ্ত জীবন সারণির মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকলেও দুটি নির্দিষ্ট জনসংখ্যার মৃত্যু
সম্ভাবনা, জন্মহার, মৃত্যুহার ও
অন্যান্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক কার্যকর।
*** ïgvix I bgybv
Rix‡ci g‡a¨ cv_©K¨: ïgvix I bgybv Rix‡ci g‡a¨ cv_©K¨¸wj wb‡gœ †`Iqv nj:
|
ïgvix Rixc |
bgybv Rixc |
|
1| Z_¨we‡k¦i
cÖwZwU Dcv`vb MYbv Kiv‡K ïgvix Rixc e‡j| 2| ïgvix Rix‡ci
gva¨‡g cÖK…Z Z_¨ cvIqv hvq| 3| A_© I Rbej AwaK cwigv‡b c‡qvRb| 4| Z_¨we‡k¦i
AvKvi †QvU n‡j ïgvix Rixc Kiv mnR| |
1| Z_¨we‡k¦i
cÖwZwU Dcv`vb MYbv bv K‡i bgybv †_‡K Z_¨ msMÖnKvwi‡K bgybv Rixc e‡j| 2| bgybv Rix‡c cÖK…Z Z‡_¨i KvQvKvwQ Z_¨
cvIqv hvq| 3| A_© I Aí Rbej cÖ‡qvRb| 4| Z_¨we‡k¦i AvKvi †QvU n‡j bgybv Rix‡ci
`iKvi †bB| |








No comments:
Post a Comment