বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিবন্ধকতাসমূহ

 

***বিকেন্দ্রীকরণের প্রতিবন্ধকতাসমূহ : বিকেন্দ্রীকরণ প্রশাসনিক দক্ষতা অর্জনের জন্য একান্ত অত্যাবশ্যক হলেও এর প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জটিল ধরনের সমস্যা দেখা যায়। বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত প্রতিবন্ধাকতাসমূহ রয়েছে। যথা :

, ঐতিহ্যগত প্রভাব : ঐতিহ্যগত প্রভাব বিকেন্দ্রীকরণের পথে সর্বপ্রথম বাধা।

ঐতিহ্যগত প্রভাব লােক প্রশাসনকে সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের সাথে সুষ্টুতাবে খাপখাওয়ানোর জন্য বিরাট প্রতিবন্ধকতা কাজ করে। প্রশাসকগণ যখন সংগঠনের পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান লাভ করতে পারেন না এবং যখন তারা পুরনাে মীতি ও পদ্ধতি আঁকড়িয়ে থাকতে চান তখন প্রশাসনিক বিকে্দ্রীকরণের সুষ্টনীতি প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।

. কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের প্রয়োজনীয়তা : যে কোনাে প্রশাসনিক সংগঠনকে কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং আক্ষলিক অফিসের নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয়বলি পনাক্তকরণ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আঞ্চলিক দপ্তরগুলােকে কেন্দ্রীয় দপ্তরের নিয়ন্ত্রণমুক্ত রাখাটাও একটা অন্যভম সমস্যা।

৩. স্থানীয় চাপসৃষ্টিকারী গােষ্ঠীসমূহের প্রভাব: চাপসৃষ্টিকারী

গােষ্ঠী একটি সুসংগঠিত দল যারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া ছাড়াই সরকারি নীতিসমূহকে প্রভাবিত করে থাকে। ক্ষমতার বাইরে থাকলেও তারা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

.বিভিন্ন বিকেন্দ্রীকৃত সংস্থাসমূহের মধ্যে সমন্বয় : বিশেষত আঞ্চলিক দপ্তরসমূহ যখন কেন্দ্রীয়

দপ্তর হতে অনেক দূরে অবস্থান করে তখন এ সমস্যা আরাে প্রকট হয়ে দেখা দেয়। এতে প্রশাসনিক জটিলতা বৃদ্ধি পায় এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য হয়ে দাঁড়ায়।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুষ্ঠু বিকেন্দ্রীকরণের জন্য উপর্যুক্ত সমস্যাসমূহ দূরীভূত করা একাত্ত

আবশ্যক। এরূপ সমস্যা দূরীকরণের মাধ্যমেই কেবল যথাযথ, অর্থবহ ও কার্যকর বিকেন্দ্রীকরণের নীতি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

 


পোষক
-পোষ্য সম্পর্ক

 সাধারণভাবে বলতে গেলে পােষক-পােষ্য সম্পর্ক হচ্ছে সামাজিক অবস্থান পদমর্যাদাগত পার্থকের সম্পর্ক। অসম পদ-মর্যাদার ব্যক্তিদের মধ্যে পারস্পরিক লেনদেনের উপর ভিত্তি করে যে সম্পর্ক গড়ে উঠে তাকে পােষক-পোষ্য সম্পর্ক বলে) গ্রামীণ সমাজে ভূ-স্বামীর নিকট ভূমিহীন শ্রমজীবী মানুষ তাদের আনুগত্য ও সেবা প্রদানের বিনিময়ে কেবল কর্মসংস্থান বা জমি বর্গা পাওয়ার আশা করে না। বরং তাদের সংকটময় মূহূর্তে পােষকের নিকট নিরাপত্তা লাভের আশা করে থাকে /বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী পােষক-পােষ্য সম্পর্ককে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেছেন। নিম্নে তাঁদের প্রদত্ত কয়েকটি সংজ্ঞা তুলে ধরা হলাে :

Erick G. Jansen এর মতে, "পাষক-পােষ্য সম্পর্ক হলাে মানুষের মধ্যে পদমর্যাদাগত পার্থক্য।"

Powell এর মতে, "পােষক-পােষ্য সম্পর্ক হচ্ছে এক ধরনের সম্পর্ক যে সম্পর্কের মধ্যে তুলনা অযােগ্য পণ্য এবং সেবার বিনিময় হয় দুইটি ভিন্ন পদমর্যাদার অসম আর্থ-সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে।"

James C Scott এর মতানুসারে, "পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পােষক আশ্রিত সম্পর্ককে এক বিশেষ ধরনের দ্বিপক্ষীয় বন্ধন হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যায়। যা এমন এক যান্ত্রিক বন্ধুত্ব যেখানে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন কোনাে ব্যক্তি তার নিজের প্রভাব ও সম্পাদিত কোনাে নিম্ন মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তির সুবিধা ও নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করে তার কাছ থেকে বিনিময়ে সাহায্য সমর্থন সেবাযত্ন পেয়ে থাকে।"

 

Share:

No comments:

Post a Comment

slidebar

Total Pageviews

Abdullah Mondal

Powered by Blogger.

Blog Archive

Recent Posts

বাস্তবতা

জীবনের বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর। এটাই জীবন। জীবনের বাস্তবতার বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, যতই নিষ্ঠুর হউক বা যতই কষ্ট হউক তা সয়ে নিতে হয়, মেনে নিতে হয় জীবনের প্রয়োজনেই। জীবনে কষ্ট আসলে মানসিক ভাকে যতটুকু ভেঙ্গে পড়বে জীবন তার দ্বিগুন পিছিয়ে যাবে। জীবনের সকল দূঃখ কষ্ট ও বাস্তবতাকে জীবনের অংশ হিসাবে মেনে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করার নামই হচ্ছে সুখ।

Pages